রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২১ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
দুই দিনের সফরে আজ বরিশাল আসছেন অতিথি গ্রুপ অব কোম্পানির এমডি লায়ন সাইফুল ইসলাম সোহেল  পিরোজপুর ভান্ডারিয়ার যুব মহিলা লীগ নেত্রী জুথি গ্রেফতার গৌরনদীতে তিন দফা দাবি আদায়ে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল উপজেলা প্রশাসনকে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম গ্রেনেড হামলার মামলা থেকে তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতারা খালাস পাওয়ায় গৌরনদীতে আনন্দ মিছিল বরিশালের বাকেরগঞ্জসহ চারটি থানা এবং উপজেলায় নাগরিক কমিটি গঠন   আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা বিহীন বাংলাদেশ শান্তিতে থাকবে, এটা অনেকেরই ভালো লাগেনা-এম. জহির উদ্দিন স্বপন তারেক রহমানের বিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি-এম. জহির উদ্দিন স্বপন গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন
বিলুপ্তির পথে দক্ষিনের গ্রামীণ ঐতিহ্য ঢেঁকি

বিলুপ্তির পথে দক্ষিনের গ্রামীণ ঐতিহ্য ঢেঁকি

শরফুদ্দিন আহমেদ বাবু ॥ ‘ধান ভানি রে, ঢেঁকিতে পার দিয়া। ঢেঁকি নাচে আমি নাচি, হেলিয়া দুলিয়া। ধান ভানি রে।’ গ্রামবাংলার তরুণী- নববধূ, কৃষাণীদের কণ্ঠে এ রকম গান এখন আর শোনা যায় না। বিভিন্ন ধরনের যন্ত্র আবিষ্কারের সাথে সাথে সেসব পুরোনো ঐতিহ্য হারিয়ে গেছে। কালের বিবর্তনে ঢেঁকি এখন শুধু ঐতিহ্যের স্মৃতি বহন করে। দিন দিন ঢেঁকি শিল্প বিলুপ্ত হলেও একে সংরক্ষণের কোন উদ্যোগ নেই। আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি এখন আর আগের মতো চোখে পড়ে না।
একসময় ঢেঁকি ছিল গ্রামীণ জনপদে চাল ও চালের গুঁড়া বা আটা তৈরির একমাত্র মাধ্যম। অগ্রহায়ণ-পৌষ মাসে কৃষক ধান কাটার সঙ্গে সঙ্গে কৃষাণীদের ঘরে ধান থেকে নতুন চাল ও চালের গুঁড়া করার ধুম পড়ে যেত। সে চাল দিয়ে পিঠা-পুলি, ফিরনি, পায়েস তৈরি করা হতো। এছাড়াও নবান্ন উৎসব, বিয়ে, ঈদ ও পূজায় আগে ঢেঁকিতে ধান ভেনে আটা তৈরি করা হতো। তখন বধূরা ঢেঁকিতে কাজ করতো রাত থেকে ভোর পর্যন্ত। ঢেঁকিছাঁটা আউশ চালের পান্তা ভাত খেতে খুব স্বাদ হতো। একসময় মানুষ ঢেঁকিতে ধান ও চাল ভেনে চিড়া-আটা তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করতো। ঢেঁকির ধুপধাপ শব্দে মুখরিত ছিল দক্ষিন বাংলার জনপদ। কিন্তু এখন ঢেঁকির সেই শব্দ শোনা যায় না। তখন কবি- সাহিত্যিকগণ ঢেঁকি নিয়ে কবিতা ও গান লিখেছেন। বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়ায় কোথাও ঢেঁকির শব্দ নেই। ফলে বিলুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জনপদের ঐতিহ্যবাহী কাঠের তৈরি ঢেঁকি। প্রত্যন্ত দক্ষিনের গ্রামাঞ্চলে যেখানে বিদ্যুৎ নেই, সেখানেও ঢেঁকির ব্যবহার কমেছে। গ্রামীণ ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে কেউ কেউ বাড়িতে ঢেঁকি রাখলেও ব্যবহার করছে না। যন্ত্র আবিষ্কারের আগে ঢেঁকি শিল্পের বেশ কদর ছিল। তেল বা বিদ্যুৎ চালিত মেশিন দিয়ে ধান ও চাল ভানার কারণে ঢেঁকি আজ কদরহীন।
বাংলাদেশের গ্রামগুলোতে ঘুরেও এখন ঢেঁকির দেখা মেলে না। ঢেঁকি সম্পর্কে জানতে চাইলে অনেকেই জানান, আগে প্রায় সবার বাড়িতে ঢেঁকি ছিল। সেই ঢেঁকিছাঁটা চাল ও চালের পিঠার গন্ধ এখন আর নেই। পিঠার স্বাদ ও গন্ধ এখনো মনে পড়ে। আধুনিক প্রযুক্তির ফলে গ্রামবাংলায় ঢেঁকির ব্যবহার কমে গেছে। ঢেঁকি আমাদের প্রাচীন ঐতিহ্য। শুধু তাই বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে দিন রাত কাজ করে যাচ্ছে সরকার। তার সাথে সাথে আবিষ্কারও হচ্ছে উন্নতমানের যন্ত্র। তাই হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী কাঠের তৈরি ঢেঁকি। একপর্যায় বলা যায় বর্তমান যুগের তরুণী-নববধূরা ঐতিহ্যবাহী কাঠের তৈরি ঢেঁকি কি তা সর্ম্পকে কিছুই ধারনা নেই তাদের। এখন আর দক্ষিনঞ্চলের কোথাও দেখা যায়না ঐতিহ্যবাহী কাঠের তৈরি ঢেঁকি। দেখা যাচ্ছেনা এখন আর মা-বোনদের এক সাথে। তাই এ শিল্প রক্ষা এবং সংরক্ষণের জন্য সবার সহযোগিতা ও গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com